আল্লাহ তা’আলা আল্লামা ইসহাক ফরীদী (র.)- [আনোয়ারুদ দিরায়া শরহে বেকায়া পিডিএফ বই] কে জান্নাতুল ফেরদাউসের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন। তিনি সারাক্ষণ বসে লিখতেন। আমাকে বলতেন, মাওলানা যাইনুল আবিদীন সাহেবের সাথে যােগাযােগ রেখে কিছু লেখালেখি করতে। তখন থেকেই আমি সৈনিক ও মাসিক পত্র-পত্রিকায় কিছু লেখার চেষ্টা করতাম। মাওলানা যাইনুল আবিদীন সাহেবও আমাকে যথেষ্ট দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দিচ্ছে এবং এখনাে দিচ্ছেন। আল্লাহ তা’আলা তার এই চেষ্টার বনেীলতে আমাকে এ নয় সীমানায় এগিয়ে যাওয়ার তৌফিক দেন। বক্ষমাণ গ্রন্থটি ‘শরহে বিকায়া” গ্রন্থের একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যাগ্রন্থ। শরহে বিকায়া” গ্রন্থটি হিজরি সপ্তম শতকের শেষার্ধে আরবি ভাষায় রচিত ফিকহে হানাফীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ভরযােগ্য গ্রন্থ। এ গ্রন্থটি মূলত শায়খ বুরহানুশ শরীআহ, মাহমুদ (র.)-এর রচিত “বিকায়া” নামক কিতাবের ওবায়দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (র.)-এর লিখিত আরবি শরাহ। এ
আনোয়ারুদ দিরায়া শরহে বেকায়া PDF বই
“শৱহে বিকায়া ছাড়াও “বিকায়া” কিতাবের বিভিন্ন ভাষায় লিখিত ২০টিরও অধিক শরাহ রয়েছে। তন্মধ্যে ‘শরহে | বিকায়া’-ই প্রথম এবং প্রধান শরাহ । তা ছাড়া শরহে বিকায়া’ গ্রন্থেরও বিভিন্ন ভাষায় রচিত অনেক ব্যাখ্যাগ্রন্থ ও টীকা
- আযীযুল মুবতাদী বা মীযানুস্সরফ ও মুনশায়িব পিডিএফ বই
- Bukhari Sharif Hadith Bangla Pdf Book 1-10 Part
- আনওয়ারুল মানার শরহে নুরুল আনওয়ার প্রথম খন্ড ডাউনলোড pdf
- আনওয়ারুল মানার শরহে নুরুল আনওয়ার দ্বিতীয় খন্ড PDF
রয়েছে। তন্মধ্যে মাওলানা আব্দুল হাই লক্ষ্মীবী (র.)-এর রচিত _ ব্যাখ্যাগ্রন্থ এবং 3 2 টীকাগ্রন্থ সর্বাধিক প্রচলিত ও গ্রহণযােগ্য। তবে বাংলা ভাষায় ‘শরহে বিকায়া’ -এর পূর্ণাঙ্গ কোনাে অনুবাদ ও ব্যাখ্যাগ্রন্থ রচিত হয়নি, যদিও আংশিক হয়েছে। অপরদিকে এন্থটি যুগ যুগ ধরে দরসে নেজামীর ‘শরহে বিকায়া জামাতে’ তালিকাভুক্ত। তাই গ্রন্থটির সরল অনুবাদ, প্রয়ােজনীয় ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ও মাসআলার সুচারু বর্ণনা সংবলিত একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যাগ্রন্থ মাতৃভাষায় উপস্থাপনের লক্ষ্যেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। দীর্ঘদিনের সাধনা ও শ্রমের মাধ্যমে মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়ােজন পূরণার্থে এ গ্রন্থটি রচনা ও শিক্ষার্থীদের খেদমতে উপস্থাপন করতে পেরে আমরা আল্লাহ তা’আলার শাহী দরবারে অফুরন্ত শােক জ্ঞাপন করছি।

আনোয়ারুদ দিরায়া শরহে বেকায়া পিডিএফ বই ডাউনলোড করুন।
এ মুহুর্তে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি ঢাকা চৌধুরীপাড়ার ঐতিহ্যবাহী “নুর মসজিদ মাদরাসা”-এর বর্তমান মুহতামিম আমার পরম শ্রদ্ধেয় উস্তাদ মাওলানা আবু মুসা সাহেব দা. বা.)-কে। তিনি তাঁর মনােজ্ঞ বাচনভঙ্গি ও সাজানাে তাকরীরের মাধ্যমে আমাদেরকে শরহে বিকা” কিতাবটির দরস দিয়েছিলেন। শরণ করছি আমার শিক্ষাগুরু হযরত মাওলানা জামালুদ্দীন সাহেব (দা. বা.-কে, যার নিকট আমার পড়াশােনার হাতে খড়ি। বিভিন্ন সময়ে কাজের ক্ষেত্রে আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন আমার প্রিয়বন্ধু মাওলানা আতাউল্লাহ। তাদেরকে আল্লাহ তা’আলা ইহ ও পরজগতে কামিয়াব করুন। মানুষ সীমিত জ্ঞানের অধিকারী। জ্ঞানের দুর্বলতা ও দ্রণজনিত ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে এ কিতাৰে কোনাে আক্ষরিক কিংবা তাথ্যি ভুল-ত্রুটি দৃষ্টিগােচর হলে সহৃদয় পাঠকবৃন্দ আমাদেরকে জানালে পরবর্তী সংস্করণে আমরা তা সংশােধনের চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের এ ক্ষুদ্র খেদমতকে কবুল করেন। -আমীন!]
Anoyarud diraya shorhe bekaya pdf book download now
ফিকহের সংজ্ঞা ও পরিচিতি ; ফিকহ শব্দটি আরবি। এটি বাবেও থেকে ব্যবহৃত হয়। বাবে – থেকে ব্যবহৃত হলে এর অর্থ হবে- ১১. (জানা, জ্ঞাত হওয়া বা অবহিত হওয়া ইত্যাদি। আর যদি বাবে 5 থেকে আসে তবে এর অর্থ হবে- ফকীহ হওয়া। প্রখ্যাত অভিধান বিশারদ আল্লামা আবুল ফজল জামালুদ্দীন (র.) বলেন-লিসানুল আরব) | শায়খ মুহাম্মদ আলাউদ্দীন হাসকাফী (র.) বলেন-দুররুল মুখতার পরিভাষায় ফিকহ কাকে বলে, এ সম্পর্কে ওলামায়ে কেরামের একাধিক অভিমত রয়েছে। মিফতাহুস সাআদাহ’ গ্রন্থকার বলেন
هو يلم باج عن الأحكام الشريرة القرية العملية من حيث استنباطها من الأرثة النبيلة
উসূলবিদ ওলামায়ে কেরামের মতে النصية ফিকহবিদদের মতে, ৯. অর্থাৎ শরিয়তের শাখা-প্রশাখা সম্পর্কিত হুকুম-আহকামের সংরক্ষণ করাকে ফিকহ বলে! সুফিয়ায়ে কেরামের মতে- অর্থাৎ ইলম ও আমলের সমষ্টির নামই ফিকহ। এ কারণেই হযরত হাসান বসরী (র.) বলেন-
Shorhe Bekaya Pdf Book Download Now
* -ফতােয়ায়ে শামী- খ. ১ পৃ. ১২০l ইমাম শাফেয়ী (র.)-এর মতে -আল-মিফতাহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহ- খ, ১ পৃ. ১৬] ইমাম আযম আবু হানীফা (র.)-এর মতে- ৫ “নফস ও আত্মার জন্য যেসব বিষয় কল্যাণকর এবং যেসব বিষয় কল্যাণকর নয় তা সই নন্স সম্বন্ধে যথাযথ অবহিত হওয়াকে ফিকহ বলে।” এ সংজ্ঞায়। ৩. তথা আকিদা-বিশ্বাস তথা আখলাক ও তাসাউফ এবং তথা নামাজ, রােজা, বেচাকেনা ইত্যাদি সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু পরবর্তীকালে যখন জ্ঞানের প্রতি শাখা স্বতন্ত্ররূপ লাভ করে তখন আকাইদ সম্পর্কিত ইলমকে বলা হয় “ইলমুল কালাম।’ আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কিত ইলমকে বলা হয় “ইলমুত তাসাউফ’ এবং আমলী জীবনের সাথে সম্পর্কিত বিধি-বিধানের নাম হয় “ইলমুল ফিকহ।